কাজী অফিসে বিয়ের খরচ 2025 সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপনি কি কাজে অফিসে বিয়ের খরচ 2025 সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন এই আর্টিকেলে আমরা কাজী অফিসে বিয়ের খরচ ২০২৫ কাজী অফিসে বিয়ে করতে কতজন সাক্ষী লাগে?? সাক্ষী ছাড়া কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায় নাকি এবং মেসেঞ্জারে কবুল করলে কি বিয়ে হয়ে যায় নাকি সেই সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি সাক্ষী ছাড়া বিয়ে করার ব্যাপারে জানতে চান এবং কাজী অফিসে বিয়ের খরচ কত 2025 সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন দেখুন চলুন আমরা তাড়াতাড়ি দেখে আসি কাজী অফিসে বিয়ের খরচ কত 2025 এবং কাজী অফিসে বিয়ে করতে কতজন সাক্ষী লাগে??
ভূমিকা
বিবাহ হলো একটি পবিত্র সামাজিক বন্ধন এটি হলো পরিবার গঠনের প্রথম ধাপ একটি পরিবার তখনি গঠন হয় যখন দুইজন ব্যক্তির বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারপর তাদের সন্তান হয় তারপর একটি সম্পূর্ণ পরিবার হয়।
বিবাহ হলো অত্যন্ত শুভ একটি কাজ প্রত্যেকের নিজেদের ভালোবাসা থেকে চূড়ান্ত রূপ দেয়ার জন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এছাড়াও বিবাহ হলো একটি সামাজিক ও ধর্মীয় বন্ধন। এটি ধর্মীয়ভাবে স্বীকৃত একটি সম্পর্ক। প্রতিটি ধর্মের ভিন্ন ভিন্ন বিয়ের রেওয়াজ অথবা নিয়ম-নীতি রয়েছে।
বিবাহ মানুষকে ধর্ম এর মাধ্যমে দুইটি আত্মার মিলন ঘটায় ইসলাম ধর্মে বিবাহ করা সুন্নাহ আবার অনেক ক্ষেত্রে ফরজ। বিবাহ প্রতিটি ব্যক্তিকে করতেই হবে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য এই পৃথিবীতে বিবাহ করা ফরজ।
আরো দেখুন: বেক্সট্রাম গোল্ড খেলে কি মোটা হওয়া যায়??
মহান সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য অন্য আরেকজন ব্যক্তিকে রেখেছেন যার সাথে সারা জীবন কাটাতে হবে। বিবাহ মানুষকে মানসিক প্রশান্তি এনে দেয় এবং এটি একাকীত্ব দূর করতে সাহায্য করে। আপনি যদি নতুন বিবাহ করতে চান
তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিবাহ সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করব কাজী অফিসে বিয়ে করতে কতজন সাক্ষী লাগে যদি আপনি কাজী অফিসে বিবাহ করতে চান তাহলে আপনার কতজন সাক্ষী প্রয়োজন হবে পাশাপাশি কাজী অফিসে বিবাহ করতে কত টাকা খরচ হতে পারে সেই সকল বিষয় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।
কাজী অফিসে বিয়ের খরচ 2025
আপনি কি কাজী অফিসে বিয়ের খরচ 2025 সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন যারা পারিবারিক সম্মতি নিয়ে কাজী অফিসে বিবাহ করতে চাচ্ছেন তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে যে কাজী অফিসে বিয়ের খরচ কত হতে পারে।
বিবাহ হল মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় এটি অনেকেই কাজী অফিসে করতে চান আবার অনেকেই পরিবারের সম্মতিতে সামাজিকভাবে আনন্দ উদযাপন করে বিবাহ করেন। তবে যারা প্রথমে রেজিস্ট্রি করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে তারা কাজী অফিস থেকে রেজিস্ট্রি করে
সামাজিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন করতে পারেন তারপর সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান করে বিবাহের সকল নিয়ম নীতি সম্পন্ন করতে পারবেন। এছাড়াও যারা ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছেন এবং পরিবারের সম্মতি ছাড়াই বিবাহ করতে চাচ্ছেন তারা যদি কাজী অফিসে বিবাহ করতে চান তাহলে জানতে হবে কাজী অফিসে বিবাহ করতে কত টাকা খরচ হতে পারে।
- কাজী অফিসে বিবাহ করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পাতি প্রয়োজন রয়েছে।
- যেমন বর ও কোনে জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা আইডি কার্ডের ফটোকপি ও আসল কপি
- নির্ধারণ সংক্রান্ত তথ্য বিয়ের মৌখিক এবং লিখিত সম্মতির দলিল স্বর
- দুই পক্ষের শাক্তিদাতার আইডি কার্ড এর ফটোকপি
- পাত্র কন্যার ছবির কপি
এই কয়েকটি কাগজপত্র প্রস্তুত করে কাজী অফিসে যোগাযোগ করতে হবে যদি ওপরের এই কাগজগুলো না থাকে তাহলে কাজী অফিসের বিবাহ সম্পন্ন হবে না। এখন প্রশ্ন হল কাজে অফিসে বিয়ে করতে কত টাকা লাগে অথবা কাজী অফিসে বিয়ের খরচ কত?
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় কাজি অফিসে ভিন্ন ভিন্ন খরচ হয় রাজধানীতে বেশি খরচ হয়। রাজধানীতে অর্থাৎ ঢাকাতে বিবাহর দেনমোহর এর প্রতি 1000 এর অংশ বিশেষের জন্য কাজী অফিসে খরচ হতে পারে প্রায় ১০ হাজার টাকা।
আর বাংলাদেশের অন্যান্য বিভাগ যেমন রাজশাহী খুলনা সিলেট এ সকল বিভাগের কাজী অফিসে খরচ হতে পারে ৮ হাজার টাকা। এছাড়াও আরো অন্যান্য খরচ রয়েছে যেমন দেনমোহরের সর্বনিম্ন অংশের পি ২০০ টাকা এবং দেনমোহরের ৫ লক্ষের বেশি হলে
পরবর্তী প্রতি লক্ষ্যের জন্য ১০০ টাকা যোগ হবে যেমন যদি পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি 6 লক্ষ টাকা দেনমোহর হয় তাহলে কাজী অফিসে ৭১০০ টাকা দিতে হবে আর যদি ৭ লক্ষ টাকা দেনমোহর হয় তাহলে ৭২০০ টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ পাঁচ লক্ষ টাকা এর ওপরে দেনমোহর হলে প্রতি এক লক্ষের সাথে ১০০ টাকা যোগ হবে।
এছাড়াও আরো রয়েছে কমিশন যাতে এক বাবদ ফি ১০ টাকা বিবাহ ও তালাকের জন্য কমিশন ফি 50 টাকা অনলিপি প্রাপ্তি ৫০ টাকা এবং বহি তল্লাশি ফি ১০ টাকা। সব মিলিয়ে মোট খরচ হতে পারে প্রায় নয় থেকে দশ হাজার টাকা।
কাজী অফিসের বিবাহ করার জন্য অবশ্যই কোণে ও বরের বয়স ১৮ এর বেশি হতে হবে বোনের বয়স ১৮ হলে যথেষ্ট আর ছেলের বয়স ১৮ এর বেশি হতে হবে যদি প্রাপ্তবয়স্ক না হয় তাহলে কাজী অফিসে বিবাহতে সম্মতি প্রদান করা হবে না।
আর যদি পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ হয় তাহলে তেমন কোন ঝামেলা হবে না কিন্তু যদি পরিবারের সম্মতি ছাড়া বিবাহ করেন তাহলে অবশ্যই বয়স ১৮ এর ওপরে হতে হবে এবং উপরে কাগজপত্র গুলো উপস্থিত থাকতে হবে পাশাপাশি কাছে ১০০০০ টাকা এর বেশি থাকতে হবে।
আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন কাজী অফিসে বিয়ের খরচ 2025 সম্পর্কে। বাংলাদেশের যে কোন জেলায় কাজী অফিসে বিবাহের জন্য সর্বনিম্ন হাতে নয় হাজার টাকা রাখতে হবে। আর যদি আপনার বাসা বাংলাদেশের রাজধানীতে হয় অর্থাৎ ঢাকাতে তাহলে হাতে ১০০০০ টাকা এর বেশি রাখতে হবে।
কাজী অফিসে মোট খরচ হতে পারে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা পাশাপাশি আরো ভিন্ন খরচ রয়েছে অতএব রাজধানীতে খরচ একটু বেশি। আর যদি আপনার বাসা বাংলাদেশের অন্যান্য বিভাগে হয় তাহলে খরচ একটু কম হবে সবমিলিয়ে হাতের ১০ হাজার টাকা কিংবা ৯০০০ টাকা রাখলে বিবাহ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে যাবে।
আরো দেখুন: ছত্রাকের ১০ টি উপকারিতা ও ৫ টি ক্ষতিকর দিক
আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন কাজী অফিসে বিয়ের খরচ ২০২৫ সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বে গতির কারণে এখন কাজী অফিসে বিয়ের খরচ বাড়তে শুরু করেছে
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় কয়েকটি কাজী অফিস রয়েছে আপনারা যে কোন কাজী অফিসে নিজেদের বিবাহ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি কাজি অফিসে বিয়ে করতে কতজন সাক্ষী লাগে
কাজী অফিসে বিয়ে করতে কতজন সাক্ষী লাগে
আপনি কি জানেন কাজী অফিসে বিয়ে করতে কতজন সাক্ষী লাগে যারা কাজী অফিসে পরিবারের সম্মতি ছাড়া বিবাহ করতে চাচ্ছেন তাদেরকে এ বিষয়গুলো নিয়ে বিশেষ ভাবনার মধ্যে থাকতে হয় যে কাজী অফিসে বিয়ে করতে কতজন সাক্ষী লাগবে কাকে কাকে হাতে করতে হবে এবং কত টাকা লাগতে পারে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে ইত্যাদি।
যারা ভালোবাসার বন্ধন কে চূড়ান্ত রূপ দিতে চাচ্ছেন এবং বিবাহ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এ বিষয়গুলো জানার খুবই জরুরী এছাড়াও বিয়ে হল একটি শুভ কাজ আপনি যাকে মন থেকে ভালবাসেন আপনি তাকেই বিয়ে করবেন।
যদি আপনারা পরিবারের সম্মতি ছাড়া বিবাহ করতে চান তাহলে আপনারা চাইলে আপনাদের বন্ধুবান্ধবকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত রেখে তাকে সাক্ষী করে বিবাহ সম্পন্ন করতে পারেন।
অথবা যদি আপনারা পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে চান তাহলে তো কোন ঝামেলা নেই পরিবারের সদস্যদের সামনে তাদেরকে সাক্ষী রেখে আপনারা আপনাদের বিবাহ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হল কাজে অফিসে বিয়ে করতে কতজন সাক্ষী লাগে??
কাজী অফিসে বিয়ে করতে সর্বোচ্চ চারজন সাক্ষী হলে বিবাহ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে যাবে অথবা তিনজন থাকলেও কোনো সমস্যা নেই একজন পুরুষ থাকতে হবে এবং দুইজন মহিলা সাক্ষী থাকতে হবে। অথবা দুইজন পুরুষ দুইজন মহিলা সাক্ষী থাকতে হবে তবে একজন অবশ্যই পুরুষ সাক্ষী থাকতে হবে আর মহিলা দুইজন সাক্ষী থাকতে হবে তাহলে কাজী অফিসে বিবাহ হবে।
ইসলাম ও হাদিসে বিবাহ করার ক্ষেত্রে সাক্ষী রাখা খুবই জরুরী এবং ইসলামের রয়েছে যদি কোন ব্যক্তির সাক্ষী ছাড়া বিবাহ হয় তাহলে সেই বিবাহকে সামাজিকভাবে এবং ধার্মিকভাবে বিয়ে হিসেবে মান্য করা হয় না অতএব সেই বিবাহের কোন মূল্য থাকে না। সাক্ষী হল যে কোন বিবাহের প্রমাণ স্বরূপ যদি কোন বিবাহতে সাক্ষী না থাকে তাহলে এটি নিজে নিজে বিবাহ করার মত হবে।
অতএব বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পূর্বে সাক্ষী জোগাড় করতে হবে আপনার পরিবারের সদস্য যেমন মা বাবা ভাই বোন এদেরকে সাক্ষী রেখে আপনি আপনার বিবাহ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। অতএব কাজী অফিসে বিয়ে করতে চারজন সাক্ষী প্রয়োজন। তিনজন সাক্ষী থাকলেও সমস্যা নেই।
- ১ জন পুরুষ সাক্ষী
- দুইজন মহিলা সাক্ষী
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কাজী অফিসে বিয়ে করতে কতজন সাক্ষী লাগে কাজি অফিসে বিয়ে করতে সর্বনিম্ন তিনজন এবং সর্বোচ্চ চারজন সাক্ষী লাগে সর্বোচ্চ চারজন সাক্ষী থাকলেই আপনারা সহজে বিবাহ এর কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন এবার চলুন আমরা দেখে আসি মেসেঞ্জারে কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায়??
মেসেঞ্জারে কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায়
অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন মেসেঞ্জারে কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায় মেসেঞ্জারে কবুল বললে কখনোই বিয়ে হয়ে যায় না এটি নিজে নিজে বিয়ে করার মত কিন্তু হাদিসে রয়েছে যদি কোন বিবাহতে কোন সাক্ষী না থাকে তাহলে সেই বিবাহের কোন ইসলামিক ভিত্তি নেই আবার সামাজিক কোন ভিত্তি নেই
যেহেতু সমাজ বিবাহের প্রমাণ চাই সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিবাহতে সাক্ষী রাখতে হবে যদি বিবাহতে কোন সাথী না থাকে তাহলে সেই বিবাহের ইসলামিক ও সামাজিক কোনো ভিত্তি থাকে না কিংবা গ্রুপে থাকে না সে ক্ষেত্রে যে কোন একজন চাইলে সে বিবাহকে অস্বীকার করতে পারে।
তাই হাদিসে বারবার বলা হয়েছে বিবাহ বন্ধনের সময় অবশ্যই সাক্ষী উপস্থিত থাকতে হবে যদি সাক্ষী উপস্থিত না থাকে তাহলে এই বিবাহ কোনভাবেই সম্পন্ন করা সম্ভব নয় যদি সম্পূর্ণ করা হয় তাহলে সেই বিবাহের কোন ধার্মিক কিংবা সামাজিক ভিত্তি থাকবে না।
ইসলাম ধর্মে সাক্ষী ছাড়া বিবাহ করার শুদ্ধ নয় কিংবা গ্রহণযোগ্য নয় কমপক্ষে দুইজন পুরুষ কিংবা একজন পুরুষ ও দুইজন নারী সাক্ষী থাকতে হবে সাক্ষী থাকাটা হল বিবাহের প্রধান শর্তের অন্তর্গত। কেউ যদি সাক্ষী ছাড়া বিবাহ করে তাহলে সেই বিবাহ একা একাই বিবাহ অথবা গোপন বিবাহের অন্তর্গত হয়ে যায়
ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য তাই ইসলামের সাক্ষী ছাড়া বিবাহ শুদ্ধ নয় ইসলামের সাক্ষী রাখা নিরাপত্তা এবং সামাজিক প্রমাণের জন্য খুবই জরুরী। যদি কোন বিবাহতে সাক্ষী উপস্থিত না থাকে তাহলে সেই বিবাহের কোন সামাজিক মূল্য থাকবে না সামাজিক ভিত্তি থাকবে না এতে যে কোন একজন খুব সহজেই সেই বিবাহকে অস্বীকার করতে পারে।
অতএব যদি আপনারা মেসেঞ্জারে নিজে নিজেরাই কবুল বলেন এবং মনে করেন আপনারা এখন থেকে বিবাহিত তাহলে এ ধারণা গুলো সম্পন্নই ভুল মেসেঞ্জারে নিজে নিজেই বিবাহ বললে কখনোই সেই বিবাহ বন্ধন সঠিক হয় না।
বিবাহের মেয়ে যে শর্তগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম তিন নাম্বার শর্ত হলো সাক্ষী উপস্থিত থাকতে হবে প্রথম শর্ত হলো ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের সম্মতি থাকতে হবে তারপর দেনমোহর থাকতে হবে এবং পাশাপাশি সাক্ষী থাকতে হবে এ কয়েকটি জিনিস থাকলে আপনারা বিবাহ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন যেহেতু মেসেঞ্জারে দেনমোহরের কোন পদ্ধতি নেই ,
দুজনের সম্মতি থাকলেও এখানে কোন সাক্ষী নেই সেক্ষেত্রে এই বিবাহ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং ইসলামের দৃষ্টিতে এটি নিরুৎসাহিত। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মেসেঞ্জারে কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায় নাকি মেসেঞ্জারে কবুল বললে বিয়ে হয়ে যায় না
যদি কেউ মনে করে মেসেঞ্জারে কবুল বললে বিয়ে হয়ে যায় তাহলে তাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল মেসেঞ্জারে কবুল বললে কখনোই বিয়ে হবে না বিয়ে কবুল হওয়ার জন্য অবশ্যই দেনমোহ থাকতে হবে সাক্ষী উপস্থিত থাকতে হবে এবং দুজনের সম্মতি থাকতে হবে । সাথে-কলমে লিখিতভাবে প্রমাণ তৈরি করতে হবে তাহলে এ সামাজিক ভিত্তি তৈরি হবে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি সাক্ষী ছাড়া কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায় নাকি???
সাক্ষী ছাড়া কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায়
আশা করছি আপনারা ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন সাক্ষী ছেরা কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায় নাকি উপরে আমরা আলোচনা করলাম ইসলামে বিবাহ শর্তের তিন নাম্বার ধাপ হলেও সাক্ষী বিবাহ করতে হলে সাক্ষীর প্রয়োজন রয়েছে সেক্ষেত্রে চাকরি ছাড়া বিবাহ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
ইসলামে কঠোরভাবে বলা হয়েছে সে বিয়ের সময় সাক্ষী উপস্থিত থাকতে হবে দেনমোহর দিতে হবে এবং দুজনের সম্মতি থাকতে হবে এবং কবুল বলতে হবে। যদি দুইজনের সম্মতি থাকা অবস্থায় কবুল বলেন কিন্তু কোন সাক্ষী না থাকে এবং দেনমোহন না থাকে তাহলে এই বিবাহ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়
এবং ইসলামের দৃষ্টিতেও এটি অগ্রহণযোগ্য এবং এর সামাজিক কোনো ভিত্তি নেই এতে খুব সহজে যে কোন ব্যক্তি অস্বীকার করতে পারবে। তবে হ্যাঁ যদি আপনি কাজী অফিসে যেয়ে সাক্ষী ছাড়া কবুল বলে এবং দুইজনের সম্মতি রেখে দেনমোহর ক্লিয়ার করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন
তাহলেও এই বিয়ে সামাজিক দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য মনে হলেও ধার্মিক দৃষ্টিতে এবং ইসলামের দৃষ্টিতে অগ্রহণযোগ্য কারণ ইসলামে বারবার বলা হয়েছে যখন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ভাবে কিংবা যখন বিবাহ কার্যক্রম চালু হবে তখন অবশ্যই সাক্ষী উপস্থিত থাকতে হবে যদি সাক্ষী উপস্থিত না থাকে
তাহলে এই বিবাহ কোনভাবেই ইসলামের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করা হবে না তাই সামাজিকভাবে সাক্ষী ছাড়া বিবাহ বন্ধন গ্রহণযোগ্য মনে হলেও ধার্মিকভাবেই বিবাহবন্ধন সাক্ষী ছাড়া অগ্রহণযোগ্য। মাঝে মাঝে যদি কোন বিবাহতে সাক্ষী বলতে না থাকে
তাহলে যেহেতু সাক্ষী উপস্থিত নেই, আসলেই বিবাহ হয়েছে নাকি এর কোন সঠিক প্রমাণ নেই তাহলে সামাজিকভাবে অনেকে এ বিষয়টি অস্বীকার করতে পারেন এমনকি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ দুইজন ব্যক্তির মধ্যে যেকোনো একজন ব্যক্তি চাইলে এই বিবাহ অস্বীকার করতে পারে।
অতএব সাক্ষী ছাড়া বিয়ে করা কোনভাবেই উচিত না। সাক্ষী রেখে বিয়ে করতে হবে তাহলেই এই বিয়ে ইসলামিক দৃষ্টিতে ও সামাজিক দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য হবে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সাক্ষী ছাড়া বিয়ে করলে কিংবা সাক্ষী ছাড়া কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায় নাকি।
আমাদের শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করলাম কাজী অফিসে বিয়ের খরচ 2025, কাজী অফিসে বিয়ে করতে কতজন সাক্ষী লাগে, সাক্ষী ছাড়া কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায়, মেসেঞ্জারে কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায় নাকি।
যারা মনে করেন শুধুমাত্র কবুল বলেই বিয়ে হয়ে যায় তাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল বর্তমান সময়ে অনেকে মেসেঞ্জারে কিংবা ফেসবুকে একে অপরকে ভালোবেসে কবুল বলেন এবং মনে করেন আজ থেকে আমরা জীবনসঙ্গিনী কিংবা বিবাহিত।
এই ধারণাগুলো সম্পূর্ণ ভুল যদি আপনারা ঐ রকম সাক্ষী ছাড়াই বিবাহ করেন এবং শুধুমাত্র কবুল বলে নিজেদেরকে বিবাহিত বলে দাবি করেন এবং একে অপরের সাথে স্বামী-সর মতো যোগাযোগ ও সম্পর্ক স্থাপন করেন তাহলে এটি ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পন্ন হারাম
এবং অগ্রহণযোগ্য এটা আপনাদের বিশাল পাপ হতে পারে। তাই বিবাহ বন্ধন সম্পন্ন করতে প্রথমেই সাক্ষী উপস্থিত এখন তারপর দেনমোহরের বিষয়টি ক্লিয়ার করুন তারপর দুজনের সম্মতি রেখে এক অপরকে গ্রহণ করুন। আশা করছি আজকের এয়ার টিকিটের মাধ্যমে প্রত্যেকে বুঝতে পেরেছেন সাক্ষী ছিল বিবাহ হয় নাকি এবং বিবাহ করতে কাজে কত টাকা খরচ হয়।
ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url